আবারও চাঁদে যাচ্ছে মানুষ

সালটা ১৯৬৯। তোমরা কি বলতে পারো, মানবজাতির ইতিহাসে এই সালটি কেন বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে? কারণ,  এই সালেই অ্যাপোলো-১১তে চড়ে মানুষ প্রথমবারের মত চাঁদে পা রেখেছিল। আমরা নতুন প্রজন্ম হতে পারিনি সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। সেই আক্ষেপ এবার আমাদের ঘুচতে চলেছে নাসার হাত ধরে।

নাসা হাতে নিয়েছে আর্টেমিস প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের আওতায় আবারও চাঁদে যাচ্ছে মানুষ। তোমাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত মনে মনে ভাবছ 'আর্টেমিস' এ আবার কেমন নাম! আসলে নামটা নেওয়া হয়েছে গ্রিক পুরাণ থেকে। পুরাণ অনুসারে আর্টেমিস হচ্ছে অ্যাপোলো এবং চাঁদের দেবীর যমজ বোন।

কে হতে চলেছে এইবারের 'নীল আর্মস্ট্রং’- এই নিয়ে চলছে সবার মধ্যে জল্পনা-কল্পনা। এই নিয়ে খোলাসা না করলেও একজন অশ্বেতাঙ্গ (Person of Color) মেয়ের পদধূলি যে পড়তে যাচ্ছে চাঁদের মাটিতে তা নিশ্চিত করেছে নাসা।


তবে শুরুতেই মানুষ পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না নাসা। প্রথম ধাপে আর্টেমিস-১ মিশনের আওতায় ওরিয়ন মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা। অ্যাপোলোর চেয়ে এবার আরও উন্নত প্রযুক্তি, আরও বড় উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য চাঁদ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা, পানির খোঁজ করা। আরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে আর্টেমিস প্রজেক্টের- মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য পূর্ব-প্রস্তুতি নেওয়া; অনেকটা আমাদের পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি, এইচএসসি) দেওয়ার পূর্বে টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার মত।

 আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই একদিন মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠাবে, উন্মোচন করবে এই মহাবিশ্বের রহস্যের ঝাঁপি। কি তোমরা পারবে না আমাদের এই স্বপ্ন সত্যি করে তুলতে!

Writer: Marshal Ashif Shawkat

BUET’19 ; BME