মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমতি পেল নিউরালিংক

মানব-মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, কেউ বা পেয়ে যাচ্ছে সুপার পাওয়ার। সায়েন্স ফিকশন গল্পে আমরা এসব হরহামেশা দেখে থাকি। এই সায়েন্স ফিকশন গল্পকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক। সম্প্রতি তারা মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর জন্য আমেরিকার এফডিএ (Food and Drug Administration) থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এই নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে বেশ হৈচৈ পড়ে গেছে। কারণ, এই প্রথম মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমোদন দিল এফডিএ। অনেকে তো একে বলছেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ।


আমাদের মস্তিষ্ক বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ব্যবহার করে নিজের মধ্যে যোগাযোগ করে। আমরা যখন হাঁটার জন্য সামনে একটা পা আগাই তখন মস্তিষ্ক থেকে একটি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পায়ের কাছে যায়। পা এর মাধ্যমে সামনে এগোনোর নির্দেশ পায়।বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ব্যবহার করে মস্তিষ্ক এইভাবে আমাদের পুরো দেহ নিয়ন্ত্রণ করে। এখন নিউরালিংক মস্তিষ্কে চিপ বসাতে চাচ্ছে যেটা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ব্যবহার করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উন্নত করবে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে কী লাভ?

উত্তর হচ্ছে এর মাধ্যমে এমন সবকিছু করা যাবে যা আগে কল্পনা করা যেত না। ধর, কেউ জন্ম থেকে অন্ধ। তার চোখের নার্ভগুলো ঠিকভাবে কাজ করে না। এখন তার মাথার হেলমেটে যদি একটা ক্যামেরা লাগানো থাকে। তাহলে ক্যামেরায় ধারণকৃত সিগন্যাল মস্তিষ্কে বসানো চিপে পাঠানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে দর্শনের অনুভূতি জাগানো সম্ভব। এছাড়াও মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ যেমন: পারকিনসন, আলঝেইমারের চিকিৎসা করা যাবে সহজেই।

নিউরালিংকের সামনে এখন বিশাল চ্যালেঞ্জ। চিপ প্রতিস্থাপনের সময় মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক তার অসাবধানতাবশত প্রবেশ করে রক্তপাত থেকে শুরু করে চিরস্থায়ী ক্ষতি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এফডিএ এ বিষয়ে নিউরালিংককে বেশ সতর্ক থাকতে বলেছে।