যদি তোমার স্বপ্ন থাকে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবার, তাহলে অবশ্যই তোমার স্বপ্নের পরিধির একটা বিশাল জায়গা জুড়ে আছে বুয়েট।
দেশের প্রথম এবং শীর্ষ প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বিশ্বমানসম্পন্ন ল্যাব, দক্ষ
ফ্যাকাল্টি, অসংখ্য ক্লাব ছাড়াও হল লাইফ, শত শত ফেস্টিভ্যাল, অসংখ্য এলামনাই যারা হতে পারে তোমার অনুপ্রেরণার উৎস -
সব মিলিয়ে বুয়েট।
বুয়েট শুধু উচ্চমানের শিক্ষা কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বুয়েটের অবদান অনস্বীকার্য। বুয়েট থেকে পাশ
করা অসংখ্য প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীরা ইউরোপ ও আমেরিকার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের কৃতিত্বের
স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
স্থপতি ফজলুর রহমান খান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ স্যারের মতো কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বরা যেখানে
একসময় পা রেখেছেন, তুমিও তাঁদের উত্তরসূরী হতে পারো!
তাছাড়া বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও দারুন সফল। যেমন, ICPC প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে এশিয়া ওয়েস্ট
চ্যাম্পিয়ন হওয়া, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার অর্জন, ওয়াটার অ্যান্ড হেলথ কনফারেন্সে স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স রিসার্চ এওয়ার্ড, এবং IEEE-এর সিগনাল প্রসেসিং কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইত্যাদি।
বুয়েট ছেড়ে দেশ বিদেশে যেখানেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ুক না কেন, তাদের জীবনের একটি অংশ তারা এই ক্যাম্পাসে
চিরদিনে জন্য রেখে যায়। এ কারণেই বুয়েটকে বলা হয়- দ্য ল্যান্ড অব লিভিং।
শুধু বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন থাকলেই হবেনা । দরকার কঠিন পরিশ্রম ও অধ্যবসায় । তাহলে আর দেরী কেন? এখনই শুরু করো তোমার
প্রস্তুতি !
এবার চলো জেনে নেই বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় যে বিষয়গুলি তোমাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে :-
০১. বুয়েট Written পরীক্ষায় সীমিত জায়গায় যেভাবে উত্তর করলে সুবিধা হবেঃ
প্রশ্নের উত্তর করার জায়গাগুলোতে উপর-নিচে বেশি জায়গা থাকে না। কিন্তু পাশাপাশি বেশি জায়গা থাকে। এই জন্য উত্তর করার
জায়গাটিকে ৩/৪ টি কলামে ভাগ করে নিলে উত্তরের মধ্যে White Space এর পরিমাণ কমে যায়। এতে করে মোটামুটি সব প্রশ্নের
জন্যই প্রয়োজনীয় জায়গা পাওয়া যায়।
০২. যে Subject দিয়ে Answer করা শুরু করতে হবে?
যেকোনো পরীক্ষার জন্যই কোন Subject দিয়ে পরীক্ষা শুরু করবে তা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তবে এক্ষেত্রে যেই Subject নিয়ে
তুমি বেশি Confident সেটি দিয়ে শুরু করা ভালো। প্রায়শই দেখা যায়, যেকোনো একটি Subject এর প্রশ্ন কঠিন হয়েছে, সেক্ষেত্রে
ঘাবড়ে না গিয়ে অন্য Subject গুলো ভালোভাবে উত্তর করার চেষ্টা করবে।
০৩. Eleventh hour (পরীক্ষার আগমুহূর্তে) কীভাবে Preparation নেওয়া উচিত?
Eleventh hour (পরীক্ষার আগমুহূর্তে) এ Preparation নেওয়ার এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রস্তুতি নেবার সময় একটি Short
Note তৈরি করতে পারে; যেখানে Math, Physics ও Chemistry এর প্রয়োজনীয় তথ্য, সূত্র, Short Technique, রাসায়নিক
বিক্রিয়া ইত্যাদি থাকতে পারে। যেগুলো তাকে বারবার ব্যবহার করতে এবং মনে রাখতে হয়। পরীক্ষার্থী পরীক্ষার আগমুহূর্তে সেই
Short Note টি রিভিশন দিতে পারে। তবে কোনোক্রমেই পরীক্ষার আগের রাতে নতুন কোনো Topic পড়তে যেয়ে আত্মবিশ্বাস
হারানো যাবে না। পূর্বের পড়া জিনিসগুলো বারবার Revision দিয়ে যাওয়াই ভালো।
০৪. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য যতটুকুসময় নেওয়া উচিতঃ
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর Fixed সময়ে দেওয়া সম্ভব না। তাই পরীক্ষার্থীর কাছে যে প্রশ্নগুলো Easier লাগবে এগুলো আগে উত্তর করাই Better । কিন্তু কখনো কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আটকে গেলে বা যদি মনে হয় উত্তর করতে বেশি সময় লাগবে তাহলে সেই প্রশ্নে সময় নষ্ট না করে পরের প্রশ্নে চলে যাওয়া উচিত। পরবর্তীতে সময় পেলে Skip করে যাওয়া প্রশ্নগুলো Solve করার চেষ্টা করতে পারো। কিন্তু জটিল প্রশ্নে সময় ব্যয় করে সহজ প্রশ্ন উত্তর করার সময় পাওনি, এমন টা যেন না হয় ।
০৫. Accuracy or Efficiency - যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণঃ
Accuracy ও Efficiency এর মধ্যে Accuracy কে বেশি গুরুত্ব দেয়া যৌক্তিক । কারণ ভুল উত্তর দিলে নেগেটিভ মার্কিং হতে পারে (BUET Preli পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এবং মোট মার্ক কমে যাবে। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারার Efficiency-ও দরকার। তবে তাড়াহুড়ায় প্রশ্নের জানা উত্তর যেন ভুল না হয় ।
যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরী।
এর মাধ্যমে
১. প্রশ্ন কেমন হয়
২. কোন অধ্যায় এবং বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে এবং
৩. প্রশ্নোত্তরের জন্য কেমন সময় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা তৈরী হয়।
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে, The Royal BUET Question Bank বইটি অত্যন্ত কার্যকর ।
কারণ এই বইতে বিগত ২৪ বছরের প্রতিটি প্রশ্ন পাঠ্য বইয়ের কোন অংশ থেকে এসেছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিগত বছরের প্রশ্নের আদলে নতুন কী কী প্রশ্ন হতে পারে, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বইটির অর্ডার লিংকঃ Click Here